সফল ক্যারিয়ার
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। আর এই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত শব্দ হচ্ছে “আউটসোর্সিং” বা “ফ্রিলেন্সিং”। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত ছোট্র একটি দেশ নাম বাংলাদেশ যা তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের বেকারত্বের ও দরিদ্রতার হার প্বার্শবর্তী দেশগুলো থেকে অনেক বেশি। এবং দিনকে দিন এর হার বেড়েই চলছে। বেকারত্ব ও দরিদ্রতা লাঘবের জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনে বেকার, শিক্ষিত,অর্ধ-শিক্ষিত,চাকুরিজীবী,গৃহিনী এমন কি পেশাজীবীরা অন্ধের মতো ছুটছে আউটসোর্সিংয়ের বা ফ্রিলেন্সিংয়ের পিছনে।এখানে যারা আসছে তাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক নয়।
এদের মধ্যে একেক জন আসে একেক উদ্দেশ্যে:
- কেউ আসে শুধু টাকা ইনকাম করার জন্য
- কেউ আসে সময় ব্যয় করার জন্য
- কেউ আসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য।
- কেউ আসে প্রফেশনালী নিজেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
ফ্রিলেন্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা ও কিছু সুনির্দিষ্ট গুনাবলির প্রয়োজন আছে যা সবার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়, আর এই বিষয় কে সামনে রেখে আলোচনা করবো যাদের ফ্রিলেন্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে আসা উচিত নয়।তবে একথা সত্য আমার মতামতের সাথে আপনি একমত না ও হতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা।
কম্পিউটার বেসিক জানে না :
অনেকেই আছেন যারা জানেন না কিভাবে কম্পিউটারের বেসিক কাজ গুলো ভালভাবে করতে হয় অর্থাৎ মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড, Excel, পাওয়ারপয়েন্টের কাজগুলো কিভাবে সম্পন্ন করতে হয়।এছাড়া ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে কোন তথ্য খুজে বের করা, মেইল প্রেরণ ও গ্রহণ ইত্যাদি।এগুলো না জানলে আপনি কিভাবে আর্ন্তজাতিক মার্কেটে কাজ করে সফল হওয়ার কথা চিন্তা করবেন।
শিখার আগ্রহ নেই এমন জন:
প্রযুক্তি সর্বদা পরিবর্তনশীল অর্থাৎ আজকে যেটা সবচেয়ে আধুনিক কালকে সেই প্রযুক্তিকে পেছনে ফেলে আরও আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন হতে পারে।কিন্তু অনেকে আছেন যারা মোটে ও নতুন কিছু জানার জন্য আগ্রহী হয় না ফলে দ্রুত মার্কেট প্লেস গুলোতে তারা তাদের অবস্থান হারায়।এ জন্য জানার ক্ষেত্রে সর্বদা আপনাকে আপডেট রাখতে হবে।আর যারা এ কাজ করতে পারবেন না তাদের আউটর্সোন্সিংয়ে আসা উচিত নয়। আর যদি নিজেকে আপডেট রাখতে পারেন তাহলে আপনি এ প্রফেশনে স্বাগতম।
অলস ব্যাক্তিদের কোন স্থান নেই এখানে:
অলস মস্তৃক শয়তানের কারখানা। যেকোন কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক উপায়ে কঠোর ও নিয়মিত অনুশীলন।কিন্তু অলসরা কঠোর প্ররিশ্রমতো করেই না বরং তারা আজকের কাজ আগামি দিনের জন্য রেখে দেয় কিন্তু ফ্রিলেন্সিংয়ে কোন কাজ আগামি কালের জন্য রেখে দেওয়ার সুযোগ নেই ।বায়ার রা তাদের কাজ সঠিক সময়ে না পেলে ভবিষাৎতে আপনাকে দিয়েতো কাজ করাবে না সেই সাথে আপনার দেশের কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ করা তে চাইবে না।এ জন্য আপনার আউটর্সোন্সিংয়ে আসা উচিত হবে না কারণ আপনিতো অন্যের ক্ষতি করতে পারেন না।
অতি অত্যন্ত ব্যস্ত জন:
বর্তমানে আউটর্সোন্সিংকে অনেকে সেকেন্ডারি কাজ হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন তারপর ও এ কাজে আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যিই নির্দিষ্ট একটা সময় আপনাকে ব্যয় করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই রুটিন অনুযায়ী করতে হবে । কোন ভাবে একেক দিন একেক সময় করা যাবে না।তাই যারা সর্বদা ব্যস্ত তাদের আউটর্সোন্সিং মোটে ও উপযোগি নয়। তাই একটা নির্দিষ্ট সময় এখনই ঠিক করে ফেলুন যে কোন সময়টা আপনি ব্যবহার করবেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার এর জন্য।
ধৈর্যহীন ব্যাক্তি:
We know that “Patience is the key to success”. ধৈর্য সফলতার মূলমন্ত্র।আউটর্সোন্সিং বা ফ্রিলেন্সিংয়ে সফল হওয়ার এক মাত্র উপায় হচ্ছে ধৈর্য্ ধরে চেষ্টা করে যাওয়া।আউটর্সোন্সিং বা ফ্রিলেন্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে হয়তো এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্য্ন্ত ধৈর্য্ ধরে চেষ্টা করা লাগতে পারে।এ ক্ষেত্রে ধৈর্য্হীন ব্যক্তি ব্যর্থ হবে কারণ তারা দীর্ঘ সময় ধৈর্য্ ধরতে পারবে না। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য সহকারে নিজের উপর কঠিন মনোবল নিয়ে কাজ করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে তবেই আপনি সহজেই সফল হতে পারবেন। ধৈয্যই আপনাকে উন্নতির চরম শিখরে আরোহর করতে সাহায্য করবে।
>>ওয়েব সাইট প্রয়োজন? দেখুন কিভাবে তৈরী করতে হয় ওয়েবসাইট<<
>>ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান?<<